চৌদ্দগ্রাম সংবাদট্রেন্ডিং নিউজ

চৌদ্দগ্রামে মাথায় আনারস প্রতীক ফুটিয়ে তুলে সমর্থকের প্রচারণা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক তাঁর মাথার চুল কেটে আনারস প্রতীক ফুটিয়ে তুলে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। ওই ব্যক্তির নাম মো. মামুন (৩০)। তিনি চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু তাহেরের (আনারস প্রতীক) সমর্থক। তিনি ওই ইউনিয়নের ভোটারও। এই অভিনব প্রচারণা এলাকার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তরুণেরা তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলছেন।

মো. মামুন পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর বাড়ি চিওড়া ইউনিয়নের ঝাটিয়ারখিল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আট ভাইবোনের মধ্যে মামুন তৃতীয়।

চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর চিওড়া ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। চেয়ারম্যান পদে এখানে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মো. আবু তাহের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক পেয়েছেন। তিনি এর আগে দুবার ওই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। অপর চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. একরামুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. খোকন ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নাছির উদ্দিন চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আসেন মো. মামুন। তখন তাঁকে ঘিরে নানা বয়সী মানুষকে ছবি তুলতে ব্যস্ত দেখা যায়। মাথার চুল কেটে আনারস প্রতীকের ডিজাইন করার বিষয়ে মো. মামুন বলেন, ‘মো. আবু তাহের দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ভালো মানুষ। আমি তাঁর জন্য কাজ করছি। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি বিজয়ী হবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রামে আনারসের পক্ষে ভোট চাইতে যাচ্ছি। সবাই আমার প্রচারণার অভিনব পন্থা দেখে সেলফি তোলে, ছবি তোলে। এতে আমি মজা পাই।’

কীভাবে এমন করে চুল কাটলেন, এমন প্রশ্নে মামুন বলেন, ১৮ ডিসেম্বর ধোরকরা বাজারে নরসুন্দর রাখাল চন্দ্র শীলের কাছে যান। রাখালকে বলেন চুলে আনারস প্রতীক ফুটিয়ে তুলতে। ওই দিন চুলের কিছু অংশ কাটেন রাখাল। ১৯ ডিসেম্বর আরও কিছু চুল কেটে আনারসের মতো সাজান। চুলে রং করেন। মাথার মাঝবরাবর চুল বড় রেখে ঝুঁটি বাঁধেন, যা দেখতে অনেকটা আনারসের মতো। দুদিনে ১২ ঘণ্টা চুল কেটেছেন রাখাল। এতে তাঁকে চুল কাটা ও রং করা বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছেন তিনি।

সমর্থকের এমন অভিনব প্রচারণা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু তাহের বলেন, ‘ভক্তরা আমাকে সম্মান, ভালোবেসে নানা কাজ করে। ওর এমন পাগলামি ভোটারদের ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি করেছে।’

এমন প্রচারণার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান মজুমদার বলেন, এতে কোনো ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। এটা ভোট উৎসবেরই একটি অংশ।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *